ডেস্ক রিপোর্ট : বাঙালির ভাত ছাড়া চলেই না। ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ভাত শরীরে অপরিহার্য কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ভাতে স্টার্চের মাত্রা বেশি, পুষ্টিগুণও তেমন নেই বললেই চলে।
খুব বেশি মাত্রায় সাদা ভাত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ওজনও বাড়ে। তাই বলে কি ডায়েট থেকে একেবারেই ভাত বাদ দিয়ে দেওয়া ভালো? এক মাস টানা ভাত না খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না কি লাভ?
স্বাস্থ্য ও জীবনধারা বিশেষজ্ঞ ভাবিকা প্যাটেলের মতে, এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দিলে শরীরে ক্যালোরির মাত্রা কমতে শুরু করে, এই কারণে ভাত খাওয়া ছাড়লে ওজন কমে। তবে, সেটি তখনই সম্ভব যখন ভাত ছেড়ে দিয়ে আপনি অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেট উৎসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন।
যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তারাও এক মাস ভাত খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে, আবার যখন আপনি ভাত খাওয়া শুরু করবেন, তখন কিন্তু শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে।
তাই এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দেওয়াকে খুব বেশি সমর্থন করছেন না পুষ্টিবিদেরা। তাদের মতে, শরীরের পরিস্থিতি বুঝে কখনও কখনও রোগীকে এক মাস ভাত খেতে বারণ করা হয় বটে, তবে সেটি সবার ক্ষেত্রে করলে খুব বেশি লাভ হয় না।
ভাত খেয়ে ফেলছেন বলেই যে রোগা হওয়া যাবে না, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোগা হতে চাইলে সারা দিনে আমাদের শরীর যতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছে, তার চেয়ে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। যারা ‘লো কার্ব ডায়েট’ করেন, তাদেরও ভাত বেশ অপছন্দের। ভাত খাওয়ারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভাত এমন এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা সহজেই হজম হয়ে যায়। পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে, তাই বার বার খিদের মুখে উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমে।
ভাতে কোনও রকম গ্লুটেন নেই। আমাদের মতো ভ্যাপসা গরমের আবহাওয়ায় ভাত খেলে শরীর অনেকটা ঠান্ডাও থাকে। তবে আপনি যদি ওজন কমাতে ভাত ছেড়ে দিতে চান, তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।