রক্ত যেমন একদিকে জীবন রক্ষা করে, অন্যদিকে সঠিকভাবে রক্তদাতা নির্বাচিত না করে রক্ত নিলে জীবন বিপন্নও হতে পারে। নিরাপদ রক্তের প্রাপ্যতা নির্ভর করে সঠিক রক্তদাতা নির্বাচন, নির্ভরযোগ্য স্ক্রিনিং ও রক্তের উপাদানের সঠিক ব্যবহারের ওপর।
• দাতার রক্ত দ্বারা বাহিত অসুখ থাকলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন না। এ ছাড়া, এডস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ থাকলেও রক্তদান করা যায় না।। যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাদেরও। আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ১২.৫-এর নীচে হয়, তা হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। আপনার হৃদ্স্পন্দনের হার যদি ৫০-এর কম ও ১০০-এর বেশি হয়, তা হলেও রক্ত নেওয়া হয় না। হাঁপানি, টিবি বা কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও রক্ত দেওয়া যায় না।
• বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তবেই তিনি রক্ত দিতে পারবেন। কম পক্ষে ৪৫ কেজি ওজন না হলে রক্ত দেওয়া নিষেধ। জ্বর হলে রক্ত দেওয়া যাবে না।
• রক্ত দানের আগের ছয় মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করানো হয়, তা হলেও রক্ত দেওয়া যাবে না। রক্ত দান করার আগের ২৪ ঘণ্টায় মদ্যপান করা চলবে না। রক্তদান করার দু’ঘণ্টা আগে ধূমপনও করা চলবে না।
• হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস রক্তদান করা উচিত নয়। তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার দু’ থেকে তিন সপ্তাহ পর রক্ত দান করা যেতে পারে।
• অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন এমন নারীও রক্তদান করতে পারেন না। এ ছাড়া, গর্ভপাত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে রক্তদান করা যায় না।