ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন দেশের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি বর্তমানে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট সভায় তাকে ইমেরিটাস অধ্যাপক মনোনীত করা হয়। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
উচ্চশিক্ষায় অধ্যাপনা পেশার এই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদবির প্রতিক্রিয়ায় ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিএসএমএমইউর ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলাম। এজন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনিই প্রথম এ সম্মানে ভূষিত হলেন। অবসরগ্রহণের পরও এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ড ও গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে আজীবন একজন অধ্যাপকের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
জামালপুরের ইসলামপুরে জন্ম নেওয়া প্রখ্যাত এই চিকিৎসক ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ চিকিৎসাখাতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। করোনাকালে জনসচেতনতার স্বীকৃতি ‘কভিড হিরো’ পুরস্কার পান। তিনি ‘শর্ট কেইস অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিন’ বইয়ের জন্য ২০১৩ সালে ইউজিসি পুরস্কার পান। বাংলা একাডেমি থেকেও তাকে অনারারি ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এর আগে, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধডজন বই লিখেছেন। তার বই এখন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানেও বেশ জনপ্রিয়।